শিক্ষক ও অভিভাবকের যৌথ উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও সার্বিক অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব । শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শগত ঐক্য ও সহযোগিতার সমন্বয় সাধন ব্যতিত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনা করতে পারেনা । এই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এ গভীর আশাবাদ ব্যাক্ত করছে যে , ছাত্রছাত্রীর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে এখানে যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে তাতে প্রত্তেক অভিভাবক মূল্যবান পরামর্শ ও সহৃদয় সহযোগিতা প্রদান করবেন । ফলে অচিরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ও সাফল্ল অর্জন সম্ভব হবে ।
শিক্ষার ক্ষেত্রে চাহিদার তুলনায় উপযুক্ত মানসম্মত স্কুলের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত । সরকারী এবং স্বল্প সংখ্যক মানসম্মত যে সব প্রাইভেট স্কুল রয়েছে তাতে সীমিত আসনের কারণে উপযুক্ত মেধা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় । এদিকে লক্ষ্য রেখেই ঢাকা আহছানিয়া মহিলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়(নার্সারি-১০ম) প্রতিষ্ঠিত করেছে । বাস্তবভিত্তিক , যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা প্রদান এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য । শিক্ষার্থীর দৈহিক , মানসিক , নৈতিক , সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের মাধ্যমে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার অনুশীলনই প্রকৃত শিক্ষা । এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে এ প্রতিষ্ঠান নিম্নোক্ত কার্যক্রম পরিচালিত করতে

প্রতিশ্রুতিবদ্ধঃ

ক. শিক্ষার্থীর সকল সুপ্ত সম্ভবনার সার্বিক ও সর্বচ্চো বিকাশ ।
খ. প্রকৃতি, পরিবেশ সম্পর্কে দায়িত্বশীল সচেতনতা , সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বোধ সৃষ্টি ।
গ. মানসিক ও চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশ , নৈতিক মূল্যবোধ , ধর্মীয় চেতনা ও আত্মিক গুণাবলীর স্ফুরণ ও বৃদ্ধিসাধন ।
ঘ. লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য রক্ষা , পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা , স্বনির্ভরতা , পারস্পারিক সহনশীলতা , উদারতা , শৃঙ্খলা , সুস্থ সামাজিকতাবোধ , সত্যনিষ্ঠা , সমাজসেবা , আদর্শ নাগরিক , সুলভ ব্যক্তিত্ব , স্বদেশপ্রেম , আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় সাধন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উপযুক্ত ভাবে গড়ে তোলা ।